
তারা আমার সাথে টিভিতে খেলা দেখে। যখন ইন্ডিয়ার বিভিন্ন পারফিউমের এ্যাড হয় তখন সেগুলো মনে হয় বেশি মনযোগ দিয়ে দেখে। কারন আমি যখনই কয়েল জ্বালাই তখনই তারা সেটা প্রাকটিস শুরু করে।
আবার মশারি টাঙ্গালেই হলো। তারা মনে করতে লাগলো আমি বোধহয় অলিম্পিক খেলা আরম্ভ করেছি। তাই তারা গানিতিক হারে মশারির মাঝে প্রবেশ করা শুরু করে। কিভাবে করে আল্লাহ মালুম।
গুড নাইট চালালে সেটা আমার জন্য হয় আরোও ব্যাড নাইট। আর যদি সব ব্যবস্থা একসঙ্গে করি তবে সেদিন হয় মশাদের উৎসব। তারা সমস্বরে গাইতে থাকে "আমার পরান যাহা চায়------------------

শীত যতদিন ছিল ততদিন লেপের কারনে মশককুল তেমন সুবিধা করতে পারেনি। তবে এই গরমে সেটা সুদে আসলে উসুল করে নিতে বিন্দুমাত্র ছাড় দিচ্ছেনা। আমি বেশ কিছু দিন ধরেই এর একটা প্রতিকার খুজছিলাম। শাস্ত্র মতে গভীর সাধনা বিফলে যাবার কথা নয়।
সুতরাং পেলাম একটা উপায়। সেটা হলো আপনিও শুরু করে দিন মশার কানে ভনভন। মশা যেমন আপনার কানের কাছে পো-----ও------ও করে আপনার আরামের বারোটা বাজায় আপনিও মশার কানে কানে এই ধরনের আওয়াজ করলেই হয়।

এবার আর মশা নয় বরং ভনভন করবেন আপনি। নড়েচড়ে বসার দরকার নাই। আপনার হয়ে এই কাজটি করবে আপনার সামনের মুঠোফোনটা। শুধু নিচের সফটওয়ারটি ডাউনলোড করে নিন। এবার মোবাইলে লোড করে তিনটা অপশনের যে কোন একটা প্লে করে দিন। এবার দেখুন তেলেসমাতি। সবগুলো মশা কিভাবে একে একে সরে যাচ্ছে।
এখানে ডাউনলোড করুন।
বলে দেয়া ভালো আমি নোকিয়া ৩১১০ এবং ৬৩০০তে ব্যবহার করেছি। প্রথম দুটি ফ্রিকোয়েন্সিতে কানে কিছুটা অস্বস্তি হয় ৩নম্বরটা কানে শোনা যায়না। সফটওয়ারটির কাজ এটাই। এটি উচ্চমাত্রার সাউন্ড ওয়েভ তৈরি করে যা মানুষের কোন সমস্যা না হলেও প্রানীকুল সহ্য করতে পারেনা। অন্তত আমি সফটওয়ারটি ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশে শহুরে মশা না পালালে আপনি আমাকে দোষ দিতে পারবেন না।