Thursday, April 28, 2011

পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত


বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার ঋণচুক্তি হয়েছে। আজ পদ্মা নদীতে ‘ভাষাশহীদ বরকত’ ফেরিতে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক অ্যালেন গোল্ডস্টেইন ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উত্সব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেলা পৌনে একটায় এ চুক্তি বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার ঋণচুক্তি হয়েছে। আজ পদ্মা নদীতে ‘ভাষাশহীদ বরকত’ ফেরিতে এ ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশের আবাসিক পরিচালক অ্যালেন গোল্ডস্টেইন ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। উত্সব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে বেলা পৌনে একটায় এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর পরপরই পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে অ্যালেন গোল্ডস্টেইন ও বাংলাদেশের পক্ষে সেতু বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া স্বাক্ষর করেন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে। মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল এ সেতু নির্মিত হবে। ঋণচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নগোজি এন ওকোনজো-আইওয়েলা, পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার, যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তাঁরা সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে আরও অর্থায়ন করবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), জাপানি ঋণদান সংস্থা জাইকা এবং ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২৫ মিটার। চার লেনবিশিষ্ট দ্বিতল এ সেতুর ওপর যানবাহন চলবে এবং নিচে চলবে ট্রেন। দুই পাড়ে নদী শাসন করা হবে ১৪ কিলোমিটার। সংযোগ সড়ক হবে ১২ দশমিক ১৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১২ কিলোমিটারই জাজিরা প্রান্তে। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য ১৬ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং সরকার বহন করবে চার হাজার ২৫৭ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের ঋণ ৪০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। তবে এর মধ্যে ১০ বছর ‘গ্রেস পিরিয়ড’। বিশ্বব্যাংকের ঋণের সুদ দিতে হবে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে। যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের ইতিহাসে পদ্মা সেতুতে যে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, তা সবচেয়ে বড়। এটা বাংলাদেশের জন্য গর্ব করার মতো।

Popular Posts